ছেলেটি দশম শ্রেনীতে পড়তো আর মেয়েটি অষ্টম শ্রেনীতে পড়তো,তখনই তাদের রিলেশন হয়, অতপর…

মেয়েটি অষ্টম শ্রেনীতে পড়তো-
মেয়েটি অষ্টম শ্রেনীতে পড়তো,
আর ছেলেটি দশম শ্রেনীতে পড়তো
তখনই তাদের রিলেশন হয়,
দুইবছর যাবত সম্পর্ক খুব গভীর
হয়ে ওঠে,
এর পর মেয়েটি যখন দশম শ্রেনীতে
উর্ত্তীর্ন হয় তখন মেয়েটির মা-বাবা মেয়েটিকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্বান্ত নেয়,
কথাটি মেয়েটি ছেলেটিকে বলে
এখন কি করবা করো,
আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না,
ছেলেটি ও মেয়েটিকে সত্যিই ভালোবাসতো,
ছেলেটি কি করবে.?
ছেলেটির বড় ভাই একটা আছে সে ও
বিয়ে করে নাই,
এখন ছেলেটি বিয়ে করার প্রস্তাব দিবে ক্যাম্নে..?
মা-বাবা কে বলবে ক্যাম্নে,
চরম টেনশনে পড়ে গেলো,

ছেলেটি নিজের মান-সম্মানের দিকে
না তাকিয়ে
মা-বাবা কে কান্না করে,
আকুতি-মিনতি করে বল্লো
মেয়েটি ও আমাকে ভালোবাসে,
আমি ও তাকে ভালোবাসি,
যদি আপনারা মেনে না নেন
আমাদের দুটি প্রান অকালে ঝরে যাবে,
আমরা আত্মহত্যা করবো,
এমন অবস্থা দেখে ছেলেটির
বাবা মা রাজি হলো,
ছেলেটির বাবা-মা ও এলাকার মেম্বার কে
নিয়ে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে
মেয়েদের বাড়িতে যায়,
মেয়েটির বাবা কোন ভাবেই রাজি নই,
পরবর্তী তে থ্রেড দেয়
দ্বিতীবার বিয়ের কথা বল্লে আমি মামলা
করতে বাধ্য হবো,
সবার সামনে অপমান করে
ছেলেটির বাবা মা কে,
কয়েকদিন পর মেয়েটিকে
সৌদিআরব প্রবাসী একটা ছেলের
কাছে বিয়ে দিয়ে দেয়,
সুন্দরভাবে চলছে মেয়েটির সংসার,
মেয়েটির স্বামীর বিয়ের ৩মাস পর
ছুটি শেষ,
আবার সৌদিআরব চলে যায়,
যখন স্বামী বিদেশ যাচ্ছে তখন
মেয়েটির পেটে ২মাস ১৫দিন
দিনের সন্তানের গর্ভবতী মেয়েটি,
স্বামী সৌদিআরব যাওয়ার ১৫দিন পর
ওখানে স্বামী মারা যায়,,
একটি সড়ক দুর্ঘটনায়,
এ কি আর্তনাদ মেয়েটির,
একি হাহাকার,
স্বামীর মৃত্যুর ৪৫দিন
পর আগের সেই প্রিয়জনের সাথে দেখা
হলো,
মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে ছেলেটিকে কথাটি
বল্লো,
ছেলেটি ও কাঁদতে লাগলো কথা গুলো শুনে,
মেয়েটি ছেলেটিকে বল্লো তুমি কি
এখন ও আমায় মেনে নিবে আমায়.?
আমি ৫মাসের গর্ভবতী,

ছেলেটি কিছুক্ষণ চুপ করে উত্তর দিলো
তুমি ১টা সন্তান কেন ১০টা সন্তানের মা
হলেও আমি তোমাকে মেনে নিবো,
আমি তোমাকেই ভালোবাসি…

একেই বলে ভালোবাসা
একেই বলে কাছে আসা,
দৈয্য সহকারে পুরোটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ,
গল্পটি কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন,
আপনাদের মন্তব্য পেলে
গল্প লিখতে উৎসাহ পাই,